শিক্ষার মান, স্কলারশিপের সুযোগ, বাৎসরিক টিউশন ফি, আবাসন সুবিধা, পড়াশোনার মাঝে শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ এবং শিক্ষাজীবন শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগসহ নানা কারণে কানাডা বিদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের দেশ। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের স্কলারশিপ দেয়। দেশটির ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় দেয় ‘প্রেসিডেন্টস ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ অব এক্সিলেন্স’।
এ বৃত্তির আওতায় স্নাতক প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগসহ বছরে ৪৫ হাজার ডলার পান নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা প্রেসিডেন্টস ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ অব এক্সিলেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাবলিক রিসার্চ প্রতিষ্ঠান। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টোয় ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি। এটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টি এ বৃত্তি দিচ্ছে। এ বৃত্তি পেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যেকোনো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে ২০ সেরা শিক্ষার্থী প্রেসিডেন্টস ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ অব এক্সিলেন্স প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হবেন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বছরে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার পাবেন। ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি শেষ করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আবেদনকারী ১৫ জন শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার ডলার করে প্রদান করা হবে টেনটেন্ডা ভায়া অ্যাওয়ার্ড (Tentanda Via Award)। এরপর ২ জনকে ২০ হাজার ডলার করে গ্লোবাল লিডার অব টুমোরো অ্যাওয়ার্ড (Global Leader of Tomorrow Award) দেওয়া হবে।
* কানাডায় পড়াশোনার জন্য স্টাডি পারমিট পাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থী হতে হবে।
* ২০২৪ সালের ফল সেমিস্টারে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত একটি স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রামে আবেদন করতে এবং ভর্তির সুযোগ পেতে হবে।
* উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে।
* একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে।
* নেতৃত্বের গুণাবলি থাকতে হবে।
* ইংরেজি দক্ষতার জন্য সনদ দেখাতে হবে।
* দুটি রিকোমেন্ডেশন লেটার।
* আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো