লিওনেল মেসি ও পাওলো দিবালার অনুপস্থিতি ও আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব ফেলেনি। বছরের প্রথম খেলায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এল সালভাদরের ওপর সমানতালে আক্রমণ করে গেল তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। তুলে নিল অনায়াস জয়।
ফিলাডেলফিয়ায় বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে প্রীতি ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির দল। ক্রিস্তিয়ান রোমোরো দলকে শুরুতে এগিয়ে নেওয়ার পর বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনসো ফের্নান্দেস। দ্বিতীয়ার্ধে তৃতীয় গোলটি করেন জিওভানি লো সেলসো।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের অবস্থানের মাঝে বিস্তর ফারাকের মতো তাদের মাঠের পারফরম্যান্সেও ব্যবধান হয়ে উঠল স্পষ্ট। শুরুর বাঁশি বাজতেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল আর্জেন্টিনার একের পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকল ৮১ নম্বরে থাকা সালভাদরের রক্ষণে।
গোলের দেখা মিলতেও দেরি হলো না। ষোড়শ মিনিটে আনহেল দি মারিয়ার কর্নারে নিখুঁত হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন টটেনহ্যাম হটস্পার ডিফেন্ডার রোমেরো।
২৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো, তবে দি মারিয়ার জোরাল শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। চার মিনিট পর আরেকটি ভালো সুযোগ পান লো সেলসো, যদিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তার প্রচেষ্টা রক্ষণে প্রতিহত হয়।
প্রতিপক্ষের প্রবল চাপে নিজেদের অর্ধ থেকে বের হতেই পারছিল না সালভাদর। আর্জেন্টিনার ওই দুই আক্রমণের মাঝে অবশেষে ভালো একটি পাল্টা আক্রমণ শাণায় তারা, গোলের উদ্দেশ্যে প্রথম শট নেয় মধ্য আমেরিকার দলটি। জাইরো হেনরিকসের শট রোমেরোর পায়ে লেগে দিক পাল্টে আর্জেন্টিনার বিপদ ঘটাতে পারতো, তবে পোস্ট ঘেঁষে বল বেরিয়ে গেলে বেঁচে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
৪২তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করে আর্জেন্টিনা। লো সেলসোর শট সালভাদরের একজনের গায়ে লেগে বল চলে যায় দূরের পোস্টের কাছে, গোলমুখে ছুটে গিয়ে অনায়াসে বাকি কাজ সারেন চেলসি মিডফিল্ডার ফের্নান্দেস।
দুই মিনিট পর ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। তবে লো সেলসোর জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন সালভাদর গোলরক্ষক মারিও গনসালেস।
প্রথমার্ধে হেনরিকসের ওই প্রচেষ্টা ছাড়া গোলের জন্য আর কোনো শট নিতে পারেনি সালভাদর। যেখানে ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে ১৩টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধেও দৃশ্যপটে কোনো বদল আসেনি। আগের মতোই চাপ ধরে রেখে ৫২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্তিনেসের পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার লো সেলসো।
৫৯তম মিনিটে দি মারিয়ার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। সাত মিনিট পর মুহূর্তের ব্যবধানে আরও দুটি সেভ করেন গনসালেস, রুখে দেন লো সেলসো ও দি মারিয়ার প্রচেষ্টা।
এরপর ধীরে ধীরে আর্জেন্টাইনদের আক্রমণের গতি একটু কমে যায়। তবে সেই সুযোগ একেবারেই নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ শিবির। নির্ধারিত সময় শেষ হতেই, কোনোরকম যোগ করা সময় ছাড়াই শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি।
বাংলাদেশ সময় আগামী বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসে আরেকটি প্রীতি ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর