গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশে রওনা হয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিজস্ব নৌবাহিনী ও ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। অন্যদিকে জলদস্যুরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। সেই সঙ্গে জিম্মি জাহাজে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে তারা।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে জিম্মি এক নাবিকের পরিবারের সদস্য গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাহাজে সুপেয় পানির সংকট দেখা দেওয়ায় নাবিকদের পানি ব্যবহার নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। জাহাজে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকা ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র জলদস্যু নাবিকদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। বর্তমানে কেবিনে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না নাবিকদের। খাবারের কষ্টের পাশাপাশি সবাইকে একটি টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে।
দ্য ডেইলি সোমালিয়া ও ভারতীয় বিমান বাহিনীর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে জলদস্যুদের বিমান বিধ্বংসী বন্দুকের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দিকে তাকিয়ে আছেন। ইইউ নেভাল ফোর্স যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও কোনো অভিযানের বিষয়ে জানায়নি।
ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্সে একটি ভিডিও চিত্র এবং তিনটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক